সম্মানিত অভিভাবক, মনে রাখবেন—আপনার সন্তানের সাহস গড়ার দায়িত্ব আপনারই। আজকাল অনেক বাবা-মা চান সন্তান সবাইকে খুশি রাখুন (মিথ্যা দিয়ে হলেও), কারো মন না খারাপ করুক।
তবে সত্যি কথা হলো—সবাইকে খুশি করে চলা কখনোই সম্ভব নয়।
তাই সন্তানকে শেখাতে হবে:
"সবাই আমাকে (শিশুকে) পছন্দ করুক" — এটাই যেন তার জীবনের লক্ষ্য না হয়।
বরং সে যেন বুঝে—আল্লাহ তা'আলার জন্যে সত্যের পাশে দাঁড়ানো, ভুলকে ভুল বলা এবং নিজের সঠিক মতামত সম্মানের সঙ্গে প্রকাশ করা—এটাই বড় গুণ।
আপনার করণীয় কী?
আপনি নিজেই সন্তানের সামনে সাহসী ও ন্যায়বান আচরণ করবেন।
যদি সে কোনো অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করে, উৎসাহ দিবেন, দমন থেকে বিরত রাখবেন।
তার কথা মন দিয়ে শুনুন—even যদি সেটা আপনার বিপরীত হয়। (ভুল বললে সুন্দরভাবে সংশোধন দিবেন)
কীভাবে ভদ্রভাবে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে হয় তা জানাতে হবে।
ফলাফল?
• সন্তান হবে আত্মবিশ্বাসী
• অন্যায় বা চাপের মুখে চুপ না থেকে ন্যায়কে বেছে নেবে
• ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে শিখবে
• নিজের আত্মমর্যাদা ধরে রাখতে পারবে, ইন শা আল্লাহ
শেষ কথা:
সন্তান যেন "ভদ্র অথচ আত্মমর্যাদাহীন" না হয়। বরং সে যেন হয় সাহসী, ন্যায়বান ও আত্মসম্মানসম্পন্ন—এটাই হোক আপনার প্যারেন্টিং লক্ষ্য।
আসুন, আমরা সবাই মিলে এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলি—যারা সত্যের পথে অটল, ইন শা আল্লাহ।
জাহিদ হাসান
২৮/০৫/২৫