“বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া বোঝা নয়, বরং তাদের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ”
বাবা-মায়ের সেবা করা বা তাদের দেখাশোনা করাকে কখনোই বোঝা মনে করা উচিত নয়। বরং এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ, যার মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি।
আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের বাবা-মা আমাদের জন্য কতো কষ্ট করেছেন। আমাদের প্রতিটি প্রয়োজন তারা পূরণ করেছেন, আমাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজেদের আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়েছেন। আমাদের অসুখে তারা রাত জেগেছেন, আমাদের ভালো ভবিষ্যতের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। এই সবকিছুর প্রতিদান দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তবে, যখন তারা বৃদ্ধ হন বা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। তাদের যত্ন নেওয়া, তাদের প্রয়োজনগুলো মেটানো, তাদের সাথে সময় কাটানো—এগুলো আসলে সেই ভালোবাসা ও ত্যাগের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট ‘ধন্যবাদ/কৃতজ্ঞতা’।
এক্ষেত্রে, এই ‘ধন্যবাদ/কৃতজ্ঞতা’ শুধু মুখে বললে হবে না, তা কাজের মাধ্যমে দেখাতে হবে। তাদের জন্য খাবার তৈরি করা, ঔষধের সময় মনে করিয়ে দেওয়া, তাদের সময় দেয়া, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা—এই সবকিছুই হলো বাবা-মায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসার বাস্তব রূপ। আবারো বলছি, এটি কোনো বোঝা নয়, বরং তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
এই কথাগুলো আমরা আমাদের সন্তানদের বারবার স্মরণ করিয়ে দিব।